নিউজ ডেস্ক | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | পড়া হয়েছে 855 বার
প্রায় ১৯ লাখ (১৮ লাখ ৭৭ হাজার) ‘ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স’ জব্দের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। যেসব চালক এসব ভুয়া লাইসেন্স ধারণ ও ব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এছাড়া সারাদেশে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গত ২০১৫ সালের ৩ আগষ্ট সোমবার এই অন্তর্র্বতীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছিল। আদালত বলেছিলেন, ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী চলাচলের সুযোগ না থাকার পরও যেসব বাহন ‘মোটরযান’ হিসেবে চলছে, সেগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো। ‘রোড অ্যাকসিডেন্ট-নাইনটিন লাখ ফেইক ড্রাইভারস রুল দ্যা হাইওয়েস’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন ছাপা হযেছিল একটি ইংরেজী জাতীয় দৈনিকে ।
ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) গত ২০১৫ সালের জুন মাসের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল, দেশে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার চালকের কাছে বৈধ লাইসেন্স নেই, যার ফলে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। দুর্ঘটনার ৬০ শতাংশই ঘটেছে চালকের দোষে’। প্রকাশিত এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট অন্তর্র্বতীকালীন আদেশ ও রুল জারি করে। রুলে প্রায় ১৯ লাখ ‘ভুয়া’ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি অবগত হয়েও কোন পদক্ষেপ না নেয়ার ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। যোগাযোগ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি এবং বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে ৩ হাজার ৫৪৪.০৬ কিলোমিটার (কিমি), আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ হাজার ২৭৮.০৭ কিমি এবং জেলা সড়ক ১৩ হাজার ২৪৭.৭৯ কিমি। মোট সড়কের দৈর্ঘ্য ২০ হাজার ৯৪৭.৭৩ কিমি। সারাদেশের এসব সড়কে চলাচল করে ২৪ লাখ ৯১ হাজার ২৯৯টি বিভিন্ন আকারের মোটরযান (৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত)। এসব গাড়ির জন্য লাইসেন্সধারী ড্রাইভারের সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন। অর্থাৎ দেশে ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৩৪টি মোটরযান চালায় ভুয়া ড্রাইভার। যাদের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। সংস্থাটির হিসেবে, খোদ ঢাকাতেই লাইসেন্সবিহীন চালকের সংখ্যা তিন লাখের বেশি।
এছাড়া সারাদেশে লাইসেন্সধারী ১৫ লাখ গাড়িচালকের লাইসেন্সও পুরোপুরি বৈধ নয়। জানা গেছে, দেশে আধুনিক বা মানসম্মত কোনো ড্রাইভিং স্কুল না থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা নিম্নমানের ড্রাইভিং স্কুল বা সিনিয়র ড্রাইভারদের কাছে কোন প্রকার চালনা শেখে। স্বল্প সময়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেই তারা গাড়িচালনা পেশায় যোগ দেয়। এছাড়া দীর্ঘদিন গাড়ির হেলপার থেকে পরে গাড়ির ড্রাইভার হয়েছেন অসংখ্য বাস ও ট্রাক ড্রাইভার। এসব হিসাব আমলে নিলে দেশে দক্ষ এবং বৈধ চালকের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি হবে না বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে হিসেবে দেশে ২০ লাখের বেশি মোটরযান চলে অদক্ষ চালকের হাতে। এসব অনুপযুক্ত ও অনভিজ্ঞ চালকের কারণে প্রতিদিনই ঘটেছে সড়ক দুর্ঘটনা। যা কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ আর হাজার মানুষ হচ্ছেন পঙ্গু।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |