শামীম-উন-বাছির | শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২০ | পড়া হয়েছে 265 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ছিলেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং মুহম্মদ মুসা ছিলেন একজন জ্ঞান তাপস।
তিনি গত বৃহস্পতিবার (০২জানুয়ারি ২০২০) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ মুসা ও সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবিরকে মরনোত্তর সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, বহুগুনে গুনান্বিত ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবিন। তিনি দৈনিক দিনদর্পন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ভিপি, পৌরসভার চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ছিলেন একজন বড় মাপের সালিশকারক। মহান মুক্তিযুদ্ধে অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবিবের অবদান জাতি চীরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে। মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবিরের হাত ধরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছিলো। তিনি বলেন, শিক্ষার প্রসারে হুমায়ূন কবির কাজ করে গেছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঘাটুরার গৌতমপাড়ার বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন কিন্ডার গার্ডেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে গেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, শ্রদ্ধেয় মুহম্মদ মুসা ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক। তিনি ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ ও গবেষক। তিনি ছিলেন একজন জ্ঞান তাপস। তিনি নিজে পড়াশুনা করতেন ও পড়াশুনার মানুষকে পছন্দ করতেন। নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে তার বিরাট ভূমিকা ছিলো। তিনি নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনের নাম মুহম্মদ মুসার নামে করার আশ্বাস দেন। মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মুহম্মদ মুসা ছিলেন আমার একজন পারিবারিক বন্ধু, আত্মার আত্মীয়। তিনি সাদা-সিদে জীবন যাপন করতেন। সারা জীবন সমাজের জন্য, মানুষের জন্য তিনি কাজ করে গেছেন। মোকতাদির চৌধুরী এমপি প্রয়াত ওই দুই সাংবাদিকের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দুটি সড়কের নামকরণ করার জন্য মেয়রের প্রতি প্রস্তাব করেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী। বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সৈয়দ মিজানুর রেজা, মোহাম্মদ আরজু, মনজুরুল আলম, আল-আমীন শাহীন, রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাদেকুর রহমান, মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম শাহজাদা।
আলোচনা সভা শেষে মোকতাদির চৌধুরী এমপি প্রয়াত দুই সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরনোত্তর সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।