স্টাফ রিপোর্টার : | সোমবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ | পড়া হয়েছে 373 বার
শহরের মোড়াইলস্থ সাহেরা-গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কবিতা ভূইয়া’র অপসারণ দাবিতে সর্বস্তরের এলাকাবাসীর আয়োজনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গতকাল রবিবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাহেরা- গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য ছাদেকুর রহমান শরিফ, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুরাদ খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইসলামিক সেন্টারের সেক্রেটারী আলহাজ্ব শওকত হায়াত খান, আবুল কালাম আজাদ মাষ্টার, জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, দৈনিক কুরুলিয়ার সম্পাদক ইব্রাহীম খান সাদাৎ, শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ জামাল খান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোহেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আল ফয়সাল, দক্ষিণ মোড়াইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা ইয়াছিন মাদানি, সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, মাওঃ ক্বারী আনিছুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও এলাকার স্থানীয় মরুব্বীগণ।
মানববন্ধনে বক্তারা সাহেরা-গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবিতা ভূইয়ার অপসারণের দাবী জানান। তারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিক্ষিকা কবিতা ভূইয়া বেপরোয়া ও অশৃঙ্খলায় চলাফেরায় বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সে স্কুলের কোন ক্লাশ নেন না এবং স্কুলের নিয়ম কানুন না মেনে চলেন না। এতে করে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান কমে আসছে। তিনি নিজেকে সাংবাদিক বলে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দেন। তিনি স্কুলে না এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবি তুলেন এবং বিভিন্ন অফিস আদালতে বিচরণ করেন। বিদ্যালয়ের বার্ষিক অভিভাবক সমাবেশে তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উত্থাপিত হলে কবিতা ভূইয়া নেতৃবৃন্দকে এবং এলাকাবাসীকে অসভ্য ভাষা গালিগালাজ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, সাহেরা-গফুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টির রক্ষা করা এবং এর শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখতে হলে এরকম শিক্ষককে অবিলম্বে এখান থেকে অপসারণ করতে হবে। তারা বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাঁর অত্যাচারের মাত্রা আরো দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বক্তারা অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেত্রে শিক্ষিকা কবিতা ভূইয়া অপসারণ দাবি করেন।
অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারিও প্রদান করেন মানববন্ধনে বক্তারা।