| শনিবার, ২৪ মার্চ ২০১৮ | পড়া হয়েছে 135 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আয়ূব খানের দ্রুত অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেছেন মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রতিবন্ধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় দেশব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রা কর্মসূচীতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন আয়োজিত আনন্দ র্যালিতে অনুপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা উপ-পরিচালক শীর্ষক স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির প্রেক্ষিতে, জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আলী আকবর, ওয়াছেল সিদ্দিকী ও সাবেক উপজেলা কমান্ডার সহ ৪৭ জন মুক্তিযোদ্ধা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাবিবুল্লা বাহার, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ছাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা তাঁতীলীগের আহবায়ক আছাদুজ্জামান খান প্রমুখসহ স্থানীয় সমাজকল্যাণ সংসদ, জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি, জেলা মূক ও বধির সংঘ এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক সংগঠন সমূহ। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ তাঁর অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেছেন।
বিতর্কিত এই কর্মকর্তা সম্পর্কে তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে, ইতিপূর্বে ২০১৪ সালে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক হিসাবে প্রথমবার তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া যোগদান করেন। সে সময়ে তিনি ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় বিজয় দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস এবং ১৭ মার্চে জাতির পিতার জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবসে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচীতে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেছিলেন- “অফিসে চাকুরী করতে এসেছি, রাস্তা-ঘাটে মিছিল করতে আসি নাই”।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সমাজসেবী হিসাবে সম্মাননা প্রাপ্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেন, ফাঁসির রায়ে দন্ডিত জামাত নেতা ও যুদ্ধাপরাধী, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোজাহিদের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে কথিত আয়ূব খানের এই উদ্ধুত্যপূর্ণ আচরণের বিষয়াটি তাৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে অবহিত করা হলে তৎক্ষনাৎ তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। একটি আক্রোশমূলক মনোভাব নিয়ে তিনি পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া যোগদান করলে মন্ত্রণালয়ে আপত্তি জানানো হয়। ফলে তাকে গত ১২ মার্চে নোয়াখালী জেলায় বদলী করা হয়। কিন্তু তিনি বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করে জেলার সমাজসেবা বিভাগের বিভিন্ন সেক্টরে একটি অস্থিতিশীল পারিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর মতো সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার সহ অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনিও।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি