স্টাফ রিপোর্টার : | বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮ | পড়া হয়েছে 119 বার
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেছেন, অনুষ্ঠানে আমার পরিচয় দেওয়া হলো যে আমি মহা পরিচালক ছিলাম মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে, আমি এই সরকারের আমলে চার বছর ছিলাম ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, চার বছর ছিলাম মাউশির মহাপরিচালক। এই যে আমি একজন মহিলা এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, সঠিক সময়ে সঠিক সরকারের সঠিক পদমর্যাদা পেয়েছি, এই সব কিছুর পিছনে যে ব্যক্তিটির অবদান তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আমাদের দেশটা দিয়েছেন, এই দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শহরের কাউতলীস্থ শহীদ লুৎফুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মেধা বৃত্তি পুরস্কার বিতরণ ও দীর্ঘদিনের বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আনোয়ারা চৌধুরীর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এ এস আর এম ওসমান গনি সজীব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন, কাউতলী জামে মসজিদের সভাপতি আলহাজ্ব সাঈদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কামরুল হক প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিসেস ছবি নূর। পরে বিদায়ী শিক্ষিকা মিসেস আনোয়ার চৌধুরীকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দরা। এ সময় তাঁকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেয়া হয়। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেয় স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
সংবর্ধনার জবাবে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বিদায়ী শিক্ষিকা মিসেস আনোয়ারা চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘ ৩৪ বছর একটানা এই স্কুলে শিক্ষকতা করেছি। তিনি বলেন, এই স্কুল আমার পরিবারের একটা অংশ। কোমলমতি এই শিশুদের নিয়েই ছিল আমার পথচলা, তারাই ছিল আমার শক্তি, তাদের জন্যই হয়তো এতটা পথ আমি পাড়ি দিতে পেরেছি। আমার খুবই ভালোলাগে যখন আমি দেখি আমারই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী তাদের কর্মজীবনে বিভিন্ন পেশায় সফল হয়েছে। এখানেই আমার এবং একজন শিক্ষকের স্বার্থকতা। বিদায়ী শিক্ষিকা তাঁর দীর্ঘ পথচলায় যারা পাশে ছিলেন তাদের প্রতি এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দসহ এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিদায়ী বক্তব্যে আনোয়ারা চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন তোমরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। তাই মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে। বাবা-মাকে ও শিক্ষকদেরকে সব সময় শ্রদ্ধা করবে। এ সময় তিনি সবার নিকট তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করেন।