প্রেস বিজ্ঞপ্তি : | শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০১৭ | পড়া হয়েছে 568 বার
বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডিপেন্ডেট স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার), ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহআলম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সামাদ আকন্দ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস মিনারা আলম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজের সভাপতি অ্যাডঃ লোকমান হোসেন। বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডিপেন্ডেট স্কুল এন্ড কলেজের উপদেষ্টা জুরু মিয়া সর্দার, সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডিপেন্ডেট স্কুল এন্ড কলেজের উপদেষ্টা মোঃ শাহ আলম, শিক্ষা পরামর্শক সদস্য মোঃ আরিফুল ইসলাম, রুমানুল ফেরদৌসী (রুমা)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ আজাদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডিপেন্ডেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, সন্তানের সবচেয়ে ভাল শিক্ষক হচ্ছে তার বাবা-মা। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সঠিক ইতিহাস বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্বাধীনতার কিছু স্মৃতি বিজড়িত স্থান সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। যেমন- বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধি সৌধ, কসবা কুল্লা পাথর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডিপেন্ডেট স্কুল এন্ড কলেজ একটি ব্যাতিক্রম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তা আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমাণ করলেন। আমি অত্যন্ত খুশি এই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম- শৃঙ্খলা পি.এস.সি এবং জে.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাস সহ জি.পি.এ গোল্ডেন প্রাপ্তদের তালিকা দেখে। আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি, গত ২৬ মার্চ ২০১৬ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস প্যারেডে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ডিসপ্লে তে অংশগ্রহণ করে তৃতীয় স্থান অর্জন করার জন্য। আজকের অনুষ্ঠানে আমি এই ব্যাতিক্রমী ডিসপ্লে দেখে আমি অভিভ‚ত হয়েছি। এই সুন্দর একটি অনুষ্ঠানে আমি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য সৃজনশীল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি সদয় দৃষ্টি রাখব। বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় বারের মত উপস্থিত হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আজকে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রছাত্রীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে আমার মনে হয়, আমার ছোট বেলার হারানো দিনগুলোকে খুঁজে পেয়েছি। পরিশেষে স্কুলের সংগীত শিক্ষক এস.এম সাহাবুদ্দিনের উপস্থাপনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।