| মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 489 বার
ফেইসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকর ছবি পোষ্ট করা নিয়ে নাসিরনগরে যে তান্ডব হয়েছে সেই ছবি হরিপুরের রসরাজ দাশের মোবাইল থেকে আপলোড হয়নি। তবে তার একাউন্ট ব্যবহার হয়েছে। সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসাইন এ তথ্য জানিয়ে বলেন- ঘটনার পর তারা রসরাজের মোবাইল ফোনটি জব্দ করে পরীক্ষার জন্যে পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশনে বিশেষজ্ঞ মতামতের জন্যে পাঠিয়েছিলেন। আজ তারা এই মতামত পান। এতে বলা হয় ছবিটি রসরাজের মোবাইল থেকে আপলোড হয়নি। অন্য কোথাও থেকে তা আপলোড হয়েছে। এদিকে স্থানীয় হরিপুর বাজারের আল আমিন সাইবার ক্যাফে থেকে ঘটনার পর কম্পিউটারের দুটি হার্ডডিস্ক জব্দ করেছিলো পুলিশ। সেগুলো পরীক্ষা করেও ছবি আপলোড করার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন- কম্পিউটারের ঐ দোকানটিতে কম্পিউটার ছিলো ৩ টি। এরমধ্যে দুটির হার্ডডিস্ক তারা পেয়েছেন। আরেকটি কম্পিউটারের মনিটর পাওয়া গেলেও হার্ডডিস্কটি পাওয়া যায়নি। এটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। এই দোকানের মালিকের নাম জাহাঙ্গীর। ছবি আপলোড করার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে গত ২৯ শে অক্টোবর পুলিশ রসরাজকে গ্রেফতার করে এবং তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায় । এর জের ধরে পরদিন ৩০ শে অক্টোবর নাসিরনগর ও হরিপুরে তাণ্ডব চালানো হয়। এদিকে নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া হাজী বিল্লাল হোসেন (৩৫) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে বিল্লাল হোসেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বিল্লাল হোসেন নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি। তিনি হরিপুর ইউনিয়নের পালবাড়ী এলাকার তাজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, হাজী বিল্লাল হোসেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলার অন্যতম হোতা। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেছে হামলার ঘটনায় সে জড়িত ছিল এবং হামলা অংশ নেয়ার জন্য ট্রাক ভাড়া করে লোকও সরবরাহ করে। তিনি আরও জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণের পর বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জ থেকে হাজী বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সোমবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়। ( জাবেদ রহিম বিজন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে )