মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান | বৃহস্পতিবার, ০৭ জুন ২০১৮ | পড়া হয়েছে 420 বার
রহমত,মাগফিরাতের দশক শেষে শুরু হয়েছে নাজাতের দশক। রমজান মাস আল্লাহতায়ালা দান করেছেন বান্দাহ যেন অল্প এবাদতে অসংখ্য নেকি অর্জন লাভ করে জান্নাতের উপযুক্ত হতে পারে।আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হতে পারে।
এবাদত আরবি শব্দ, যা আব্দ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ হলো দাস বা গোলাম। অর্থাৎ আল্লাহতায়ালার দাসত্ব বা গোলামী বা আনুগত্য করা।
পবিত্র আলকোরআনে আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেছেন যে, আমি জ্বিন ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি আমার এবাদত করার জন্য।( সুরা আল জারিয়াত,আয়াত ৫৬)।
রমজান মাসের সবচেয়ে বড় এবাদত হলো রোজা রাখা। রমজান মাসের রোজা রাখার পাশাপাশি আমাদেরকে অন্যান্য সকল এবাদত সমূহে মনোনিবেশ করতে হবে।
আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করতে যিকির এক অন্যতম বড় মাধ্যম। রমজান মাসে বেশিবার যিকির করার দ্বারা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীরতম হয়ে উঠে। আল্লাহতায়ালা বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। অন্য এক আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, তোমরা আমাকে স্বরণ করো আমি তোমাদেরকে স্বরণ করবো। (সুরা বাক্বারাহ,আয়াত ১৫২)।
মানবদেহ যেমন খাদ্যাদির কারণে সতেজ হয়, শক্তিমান হয়ে উঠে, ঠিক তেমনিভাবে অধিকহারে যিকিরের দ্বারা মানবজাতির রুহ সতেজ ও শক্তিশালী হয়ে তাক্বওয়া অর্জনেরজন্য উপযুক্ত হতে পারে।
রাসুল(সা:)এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকির করে এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকির করেনা তার উদাহরণ হচ্ছে জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মতো, ( বুখারি শরিফ)।
অতএব পবিত্র এই মাহে রমজানুল মোবারকে আমাদের প্রত্যেককে ই আল্লাহতায়ালার যিকির বেশি বেশি করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
আল্লাহতায়ালা আমাদের সকল রোজাদারদের অধিকহারে আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাকার তাওফিক দান করুণ, আমিন।
লেখক
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
শিক্ষক
জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়
কাজীপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।