শামীম-উন-বাছির | শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | পড়া হয়েছে 637 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবেশে ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এই তিন ছিনতাইকারী নাদিম নামে এক যাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা হলেন, রাজবাড়ী জেলার মজিদ মন্ডলের ছেলে ইশরাত মন্ডল-(৩৫), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ আতাহার আলী-(৩০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে (প্রাইভেটকারের চালক) সুজন মিয়া-(৪০)।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে নাদিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসায় করে সরাইলের বিশ্বরোড মোড়ে যায়। সেখান থেকে শাহবাজপুর যাওয়ার জন্যে সে বিশ্বরোড মোড়ে অপেক্ষা করতে থাকে।
এ সময় একটি যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার সিলেট যাওয়ার জন্য যাত্রী খুঁজছিলো। পরে নাদিম পঞ্চাশ টাকা ভাড়ায় শাহবাজপুর যাওয়ার জন্যে প্রাইভেটকারটিতে উঠে। প্রাইভেটকারটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বাড়িউড়া এলাকায় যাওয়ার পর প্রাইভেটকারে থাকা যাত্রীবেশি ছিনতাইকারিরা তাকে ছুরিকাঘাত ও মারধোর করে তার কাছ থেকে নগদ ১০হাজার টাকা, দুটি স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে নাদিমকে প্রাইভেটকার থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে আহত নাদিম বিষয়টি স্থানীয় এক অটোরিকসা চালককে জানালে ওই চালক পুলিশকে অবহিত করে।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর মডেল থানার পুলিশ তাৎক্ষনিক রাতের টহলরত বিজয়নগর থানা, আশুগঞ্জ থানা, সরাইল থানা এবং সদর থানাকে অবহিত করে এবং চারটি স্থানে চেক পোষ্ট বসায়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রাইভেটকারটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকা আসলে ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় অপর ছিনতাইকারী ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর এলাকার স্বপন মিয়া-(২৭) পালিয়ে যায়। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লুন্ঠিত টাকা এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা যাত্রীবেশি ছিনতাই চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, শেরপুর সহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।