স্টাফ রিপোর্টার | রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | পড়া হয়েছে 59 বার
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১মিনিটে জেলার মূল শহীদ মিনার হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর সভার পক্ষে মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলার পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন করার পর গার্ড অব অনারের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয় এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ২১ মানে মাথা নত না করা, ২১ মানে আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণা। এই চেতনাকে ধারন করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, একুশের হাত ধরেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
তিনি বলেন, দেশের সকল কর্মকান্ডে বাংলা ভাষার প্রধান্য আছে। আমরা সকলে মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে বাংলা ভাষাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। তিনি বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে আমার অন্য যে কোন ভাষা শিখবো, এতে অসুবিধার কিছু নেই। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা প্রচলনের দাবি যৌক্তিক। ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতে রায়ের ক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহার শুরু হয়েছে। এদিকে অমর একুশে উপলক্ষে শহীদ মিনারে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।