| শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ | পড়া হয়েছে 259 বার
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশে লেগুনা পরিবহন চলাচল নিয়ে বর্তমানে লোকাল বাস মালিক শ্রমিক এবং লেগুনা মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দু’পক্ষই বর্তমানে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। তবে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্বেও পুলিশী বাঁধার কারনে লেগুনা চলাচল করতে পারছেনা। লোকাল বাস মালিক-শ্রমিকরা হুশিয়ারি দিয়েছেন লেগুনা চললে লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। অপরদিকে লেগুনার মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, তাদের গাড়ি চলাচল করতে না দেওয়া হলে তারা আন্দোলনে নামবেন। তবে যাত্রীদের দাবি মহাসড়কে লেগুনা চললে তাদের পরিবহন ভোগান্তি কমবে।
এদিকে মহাসড়কে লেগুনা চলাচলে পুলিশ বাঁধা দিলেও পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অবাধে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সরকার। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যায়। তবে যাত্রীদের চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে। সরকার মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় পরিবহন মালিকরা যাত্রী পরিবহনে মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা বাস নামায়। বর্তমানে পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে দেদারচে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
যাত্রীদের পরিবহন ভোগান্তির কারনে সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি লেগুনা নামানো হয়। কিন্তু এতে বাঁধ সাধেন লোকাল বাস মালিকরা। হাইওয়ে পুলিশও লেগুনা চলাচলে বাঁধা দেয়। লোকাল বাস মালিকরা হুশিয়ারি দেন লেগুনা চললে বাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ অবস্থায় গত বুধবার দুপুরে লেগুনা শ্রমিকরা বিশ্বরোড মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
লেগুনা মালিক কামরুজ্জামান কাজল বলেন, আমরা সরকারের অনুমতি নিয়ে লেগুনা নামিয়েছি। কিন্তু বাস মালিক ও পুলিশ এতে অন্যায়ভাবে বাঁধা দিচ্ছে। লেগুনা চলাচল করলে যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া বলেন, মহাসড়কে লেগুনা চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থায় এ সড়কে লেগুনা চলতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে আন্দোলন করা হবে।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর কবির সিদ্দিকী বলেন, লেগুনা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে। যদি অনুমতি নিয়ে আসতে পারে তাহলে চলতে দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে অটোরিকশা আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।