প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬ | পড়া হয়েছে 990 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় পরানোর তালিকায় নাম না থাকায় এক ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে আরেক নেতাকে মারধোর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। মারধোরে আহত জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দত্ত-(২৬) কে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাসপাতালে আহত সুজন সাংবাদিকদের জানান, গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের পুরাতন ভবনে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত জেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদেরকে উত্তরীয় পড়ানোর তালিকা প্রস্তুতের জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল মিয়া আমাকে দায়িত্ব দেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাংসদ মোকতাদির চৌধুরীকে উত্তরীয় পড়ানোর জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ’র নাম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিনকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান রনি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারকে উত্তরীয় পড়ানোর জন্য জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিন মিয়ার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়। তালিকায় জেলা ছাত্রলীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেনিনের নাম না থাকায় অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের সামনে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে অনুষ্ঠান শেষে লেনিন তার সমর্থকদের নিয়ে আমার উপর হামলা করে।
তবে সুজনকে মারধোর করার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেনিন বলেন, আমি অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির দায়িত্বে ছিলাম। সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী বারবার মঞ্চ থেকে সকলকে যার যার আসনে বসার কথা বলছিলেন। এ সময় সুজন দাঁড়িয়ে হৈচৈ করছিলেন। আমি সুজনকে বসতে বললে সে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। অনুষ্ঠান শেষে আমাকে পছন্দ করে এমন কয়েকজন ছোট ভাই সুজনকে দু-একটি চর-ধাপ্পড় মারে। তবে সুজনের সাথে আমার কোনো হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার সহকারি পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছি, তবে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেননি।