ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : | শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০১৭ | পড়া হয়েছে 200 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, যথাঃ একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ন প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়নের কার্যক্রম সমূহ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগের বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম, বিষয়ের উপর বিকাল ৪ ঘটিকায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ বশিরুল হক ভূইয়া এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে মিসেস নায়ার কবীর , মেয়র, ব্রাহ্মণবাড়িয়য়া পৌরসভা ও আল মামুন সরকার,সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,উপস্থিত ছিলেন। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ব্যান্ডিং বিষয়ক মতবিনিময় সভায় জেলা তথ্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) দীপক চন্দ্র দাস বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল নাগরিককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন এবং এরই মধ্যে জাতিকে লোডশেডিং এর বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত করেছে। তিনি আরো বলেন- যে দেশ যত দূত ইনফরমেশন হাইওয়ে যুক্ত হবে সে দেশ তত অর্থনৈতিক ভাবে চাঁঙ্গা হবে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যানেই আজ বাংলাদেশ ‘‘ তলাহীন ঝুঁড়ি থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মর্যাদা পাচ্ছে’’। বিটি আর সি এর তথ্য মতে ৬ কোটি ১২ লক্ষ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন- প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সকলের মধ্যে দেশ প্রেম থাকতে হবে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ৮০ শতাংশ মহিলারা সেবা নিচ্ছে ফলে শিশু মৃত্যুর হার এবং মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ অতিথি মিসেস নায়ার কবির নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং আল মামুন সরকার একটি বাড়ী একটি খামার ও আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশিরুল হক ভূইয়া বলেন-এই অঞ্চলের দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ রয়েছে। আমরা ২০২১ সালে যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে যে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি তা প্রধানমন্ত্রীর এই ১০টি বিশেষ উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক, সিভিল সার্জন নিতিশ চন্দ্র মজুমদার,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা আহমেদ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ প্রমুখ।