নবীনগর প্রতিনিধি: | বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 525 বার
ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গরীবদের জন্য সরকারি প্রকল্পের ১০ টাকা কেজী চাউল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ কেজি চাউলের ডিলারা চাউল বিতরন না করে সিন্ডিকেট ও পাইকারদের কাছে চাউল বিক্রী করে দিচ্ছে এবং কিছু কিছু এলাকায় চাউল বিতরন হলেও গরীবদের নামে ওই বরাদ্ধকৃত ওই চাউলের ৮০%-ই যাচ্ছে সামর্থবান বিত্তশালীদের পেটে। উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ৫ ইউনিয়নের চাউল কোথাও বিক্রী হচ্চে না সব নৌকা যোগে পাইকারদের গোডাউনে চলে যাচ্ছে। উপজেলা অন্যান্য ইউনিয়নে যেখানে ১০ কেজি চাউ বিক্রী হচ্ছে সেখানে তালিকায় বিত্তশালীদের নাম পাওয়া যায়। উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নে চাউল বিতরনে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠে। স্থানীয়রা জানায়, ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে সামর্থবান বর্তমান মেম্বার গোলাপ মিয়া তার বউ বেদনা আক্তার ভাতিজা কামাল মিয়া, ৫ নং ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা (ভাতাপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান যিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তার দুই ছেলের এক ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, অপরজন সরকারি বড় কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা(ভাতাপ্রাপ্ত) গিয়াস উদ্দিন দুই ছেলে বিদেশ এক ছেলে সরকারি চাকুরীজীবি, রফিকুল ইসলাম খোকা বিত্তশালী ছেলে পুলিশ বিভাগে কর্মরত, আবদুল মান্নান তিনি নৈ-পরিবহন বিভাগের সুপারভাইজার দুই ছেলে প্রবাসী, মুক্তিযোদ্ধা (ভাতাপ্রাপ্ত) শাফায়েত হোসেন ব্যবসায়ী, সুবল দেব নাথ ব্যবসায়ী, ওয়াড বিএনপি সভাপতি দানা মিয়া মেম্বারের ছেলের বউ নাজমা আক্তারসহ অনেক অনেক বিত্তশালী সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারে সদস্যদের নাম গরীবদের ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরণ তালিকায় নাম রয়েছে। অথচ মো. আবেদ মিয়া, মো. রফিকুল হক, সালেহা বেগম এদের মত অনেক গরীব মানুষ এ ১০ টাকা কেজি চাউলের কার্ড পায়নি। অভিযোগ রয়েছে কার্ড পেতে গেলে ২০০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এব্যাপারে বাড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ হারুত বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাচ্ছি তাদের কার্ডগুলো স্থগিত রাখছি এবং তাদের বিরুদ্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।