প্রেস বিজ্ঞপ্তি | রবিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ | পড়া হয়েছে 163 বার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগ সমূহের ব্র্যান্ডিং, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের অর্জিত সফলতা ও উন্নয়ন ভাবনা, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য সমূহ (এস ডি জি), ভিশনঃ ২০২১ এর লক্ষ্য ও অর্জনসমূহ এবং সন্ত্রাসও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বনিক বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। সে সময় সরকারি শিক্ষকের পদমর্যাদা লাভ করেন দেশের ১লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষক। এই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা সহায়তা র্কমসূচি বাস্তবায়নের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার সুফল লাভ করছে শিক্ষার্থীরা। গত ৬বছরে ২৬,১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আয়েশা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবং নাজমা বেগম, প্রধান শিক্ষক, কসবা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র দাস। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, রূপকল্পের বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন। যেখানে নিশ্চিত হবে সামাজিক ন্যায়বিচার, নারীর অধিকার ও সুযোগের সমতা, আয়-ব্যয় ও দারিদ্র্য নেমে আসবে ন্যূনতম পর্যায়ে, সবার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত হবে, ব্যাপকভাবে বিকশিত হবে মানুষের সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে, হ্রাস পাবে সামিাজিক বৈষম্য, প্রতিষ্ঠা পাবে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবেলার সক্ষমতা। তথ্য প্রযুক্তিতে বিকশিত হয়ে সেই বাংলাদশ পরিচিত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে। কিছু বিপথগামী ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। যারা এসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা প্রকৃত মুসলিম নয়। কেননা মানুষ হত্যা কোন ধর্মই সমর্থন করে না। তিনি বলেন, সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। অচিরেই এদেশ থেকে জঙ্গিগোষ্ঠি সমূলে বিতাড়িত হবে। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের জঙ্গি কার্যক্রম থেকে সতর্ক থাকার পরার্মশ দেন। তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, শিশু মৃত্যুর হার ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসে এমডিজি পুরস্কার ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী অর্জন করেন, আমরা ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিনত হবো এবং অর্থনৈতিক সাফল্যসূচক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং দেশ ও জনগণের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেন। পরে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।