| বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 529 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার খাড়েরা গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর সকালে সীমা আক্তার (২২) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, স্বামী রুবেল মিয়া (২৮) তাঁকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের জাফর আলীর মেয়ে সীমা আক্তারের সঙ্গে তিন বছর আগে একই ইউনিয়নের বড়মুড়া গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়ার (২৮) বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল দেয়া হয়েছিল। রুবেল মিয়া কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামে শ্রমিকের কাজ করেন। সেখানে জাকির মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। দুই দিন ধরে রুবেল মিয়া নিখোঁজ এবং ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে সীমা আক্তারের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। দরজার হাতলের সঙ্গে সীমার অর্ধেক শরীর ঝোলানো অবস্থায় এবং বাকি অর্ধেক মাটিতে লাগানো অবস্থায় ছিল। সেখান থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সীমার বাবা জাফর আলী একে হত্যাকাণ্ড দাবি করে বলেন, বিয়েতে যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল দেয়া হয়েছিল। রুবেলই তাঁর মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
কসবা থানার এসআই মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক। লাশের অর্ধেক শরীর ঝুলন্ত, আর অর্ধেক শরীর মাটিতে ছিল। এ কারণে বোঝা যাচ্ছে না, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।
তিনি আরও জানান, স্বামী রুবেল মিয়া এবং গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁর বাবা হিরণ মিয়াসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।