শফিকুল ইসলাম সোহেল | শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯ | পড়া হয়েছে 286 বার
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফুনচান বেগম-(৭৫) নামে এক মুমুর্ষ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা সম্বলিত এ্যাম্বুলেন্সের পরিবর্তে সাধারণ প্রাইভেটকারে ঢাকায় পাঠানোর সময় পথিমধ্যে ওই রোগী মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই রোগীর ছেলে জেলার আখাউড়া উপজেলার টানপাড়ার মোঃ ফরিদ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের প্রধান মোঃ জুম্মান ও তার সহযোগী মোঃ কামালের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনার তদন্তে সিভিল সার্জন আগামীকাল রোববার তদন্ত কমিটি গঠন করবেন বলে জানা গেছে।
সিভিল সার্জনের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে ফরিদ মিয়া দাবি করেন, তার মা ফুলচান বেগম গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে আখাউড়া উপজেলার আজমপুর এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে তার ডান পা হারান। তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ শুনে ফরিদ মিয়া সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করলে জুম্মান ও কামাল মিয়া বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সে তার মাকে ঢাকায় পাঠাতে বাধ্য করেন। জুম্মানের চাপে পড়ে তিনি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স নিতে রাজী হন। পরে তার কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে তার মাকে এ্যাম্বুলেন্সের পরিবর্তে একটি সাধারণ প্রাইভেটকারে তুলে দেয় তারা।
প্রাইভেটকারে অক্সিজেন সুবিধা না থাকায় তার মা পথিমধ্যে নরসিংদী এলাকায় মারা যান। পরে তার মায়ের লাশ নরসিংদীতে রেখে প্রাইভেট কার চলে যায়। পরে তিনি নরসিংদী থেকে আরেকটি এ্যাম্বুলেন্সে করে তার মায়ের লাশ আখাউড়ায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
ফরিদ মিয়া এ ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের হাত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রোগীদের রক্ষা করার জন্য এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহআলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এ ঘটনায় রোববার তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেবেন এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।